আমার বাস্তব অনুভূতি :
জীবন নামের এক অদ্ভুত যুদ্ধের ময়দানের পরাজিত সৈনিক আমি । আসলেই কি আমার জীবন এরকম..….? না এটা আমার জীবন হতে পারে না ।
প্রতিটি রাতেই এই রকম হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পথ হারিয়ে কল্পনার জগতে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে যাওয়া লক্ষ কোটি মধ্যবিত্ত ছেলেদের মধ্যে আমি একজন ।
পরিবারের মেজু ছেলে আমি । কলেজে ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পরেই করোনা ভাইরাস চলে আসে আর তখন থেকেই আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায় । তখন থেকেই নিজের কাদে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়। চলে যাই অন্য একটা জগতে। এই বয়সেই নিজেকে অনেক পুরাতন , অনেক মলীন মনে হয় । এভাবেই আমার পছন্দের রং টাও হয়ে গেছে সাদা কালো ।
পরিচয়টা দিয়ে রাখি । আসলে পরিচয় দেওয়ার সম্বল বলতে আমার কাছে আছে একটা নাম (প্রবাসী) । আমি (প্রবাসী) নাজমুল । টাঙ্গাইল জেলা সাগরদিঘী ইউনিয়নের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে দ্বিতীয় ছেলে আমি । আমার বাবা একজন কৃষক ।
বাবার পরিচয়টা মলিন হওয়ার কারণে বাবা সবসময়ই চাইতো ছেলে তার নাম উজ্জ্বল করবে । সর্বদাই আমি ও আমার বাবার ইচ্ছা পুরণ করতেই চেষ্টা করি । ছোটবেলা থেকেই আমি অনেক সখ আহ্লাদ ত্যাগ করেছি শুধুমাত্র বাবার মলিন দুটি মূখে হাসি দেখার জন্য ।
আমার বাবা আমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বাবা । মাঝে মাঝে আমি যখন পড়ার টেবিলে বসে পড়তাম ঐ সময়ে আমার বাবা কাজের শেষে বাড়িতে আসতো । তখন বাবার মূখটা দেখলেই মনে হতো সন্তান হিসেবে আমি পরাজিত । আসলে আমি এই কথা গুলো লিখে বুঝাতে পারবো না যে সেসময় টাই বাবার মূখটা আমার কাছে কতটা আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে ।
তাদের ছাড়া প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে আমি প্রবাসে। প্রবাসে এসে কোনো সুখ শান্তি নাই। মানুষের থেকে দার দেনা করে দালালকে এত্তো গুলো টাকা দিয়ে এখন না দিতেছে কাজ না দিতাছে বৈধতার কার্ড। দেশের চলে যাওয়ার চিন্তাও করতে পারি না কারণ মানুষের টাকা পরিষুদ কিভাবে করব। আস্তে আস্তে মানুষ চিনতে শুরু হয়ে গেলো। এখন চেনা মানুষ গুলোও অচেনা মানুষের মতো ব্যবহার করে। সব কিছু থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
চেষ্টা করতেছি ভালো কিছু করার জন্য। আশা করি জীবনে ভালো কিছু করতে পারবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
সবাই ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আপনার পাশের মানুষদের।
সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।❤
0 মন্তব্যসমূহ